অবশেষে বৃটেনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে প্রিন্স হ্যারির লেখা বহুল বিতর্কিত স্মৃতিকথামুলক বই ‘স্পেয়ার’-এর বিক্রি। সারাবিশ্বে বইটি প্রকাশ হয়েছে ১৬টি ভাষায়। তা কিনতে লন্ডনে লাইনে অপেক্ষায় বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাদের চাহিদা সামাল দিতে মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বইয়ের দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
প্রিন্স হ্যারির মুখ থেকে তার জীবনের কাহিনী জানার জন্য বইটির একটি হার্ডব্যাক কপি সংগ্রহের জন্য তীব্র শীতের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লন্ডনে অপেক্ষায় ছিলেন তার ভক্তরা। এই বইয়ের অনেক অংশ এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। লন্ডনের আগে গত সপ্তাহে বিক্রি শুরু হয়েছে স্পেনে। বলা হচ্ছে, এক দশকের মধ্যে এই বইটি প্রকাশের আগেই সবচেয়ে বেশি অর্ডার পাওয়া বইয়ের অন্যতম। উচ্চ মাত্রায় কাস্টমারের ভিড় হবে, এটা ভেবে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে নিজেদের শাখাগুলো খুলে দিয়েছে পিকাডিলি। ডব্লিউএইচ স্মিথের ইউস্টোন, ভিক্টোরিয়া, হিথ্রো এবং গ্যাটউইক শাখাগুলো দিনের সূচনালগ্ন থেকে খুলে দিয়েছে।
এরই মধ্যে অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের বেস্ট সেলার তালিকায় বৃটেনে শীর্ষে উঠে এসেছে এই স্মৃতিকথা।
কিভাবে, কার কাছে প্রিন্স হ্যারি তার কুমারত্ব হারিয়েছেন তার বর্ণনা রয়েছে এই স্মৃতিকথায়। তা ছাড়া বড়ভাই প্রিন্স উইলিয়াম তার ওপর কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন তারও বর্ণনা আছে।
তিনি স্বীকার করেছেন, আফগানিস্তান যুদ্ধে গিয়ে হত্যা করেছেন ২৫ তালেবান যোদ্ধাকে। এছাড়া নিজের মাদকাসক্তি সহ ৪১০ পৃষ্ঠার এই স্মৃতিকথায় প্রকাশ হয়েছে তার ব্যক্তিগত জীবনের সংঘাত, উত্তেজনা। বৃটেনের রাজপরিবারের সঙ্গে তার বিরোধের ক্ষেত্র ইত্যাদি। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাকিংহাম ও কেনসিংটন রাজপ্রাসাদ।