বিশ্বকাপে অভাবনীয়ভাবে বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে পাঁচ ব্যালন ডি’অরের মালিককে স্টার্টিং ইলেভেনে রাখেননি পর্তুগালের সাবেক কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। বিশ্বকাপ শেষে সান্তোস অধ্যায়ের ইতি হয়েছে। পর্তুগালের ডাগআউটে ভিড়েছেন বেলজিয়ামের সাবেক কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। নতুন এই কোচের ভাবনায় আছেন কি রোনালদো?
২০১৬ সালে বেলজিয়াম ফুটবল জাতীয় দলের কোচ হন রবার্তো মার্টিনেজ। ২০১৮ বিশ্বকাপে তার অধীনেই তৃতীয় স্থান অর্জন করে বেলজিকরা। কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয় লুকাকু-হ্যাজার্ডরা। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পর্তুগালের দায়িত্ব ছাড়েন মার্টিনেজ। একই সময়ে পদত্যাগ করেন পর্তুগালের প্রধান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
এরপর মার্টিনেজকে নিয়োগ দেয় পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ)। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মার্টিনেজ। দায়িত্ব নিয়ে পর্তুগাল দল গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে পরিকল্পনার কথা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বিবেচনায় রাখছেন কি না? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রবার্তো মার্টিনেজ বলেন, ‘ফুটবলের সিদ্ধান্ত মাঠে নেয়া আবশ্যক। আমি এমন কোচ নই যে, অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
মার্টিনেজ বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হলো সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আমি সকল খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনা করব। একে অপরকে জানব। রোনালদোও তাদের মধ্যে একজন। প্রথমে কাতার বিশ্বকাপের ২৬ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে ভাবব আমি। সেই দলে রোনালদোও ছিল। ১৯ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছে সে। তার সম্মান প্রাপ্য। রোনালদোর সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
নিজের পছন্দ মতো দল এবং কোচিং স্টাফ নির্বাচন করতে চান রবার্তো মার্টিনেজ। সহকারী হিসেবে স্প্যানিশ কোচের পছন্দ সাবেক কোনো পর্তুগিজ ফুটবলারকে। মার্টিনেজ বলেন, ‘দল গঠন এবং কোচিং স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা আছে আমার। কিছুদিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলব। আমি একজন পর্তুগিজ সহকারী চাই, যিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি কোচিং স্টাফের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পর্তুগাল দলকে ত্বরাণি¦ত করতে সাহায্য করবেন। আমি সিস্টেমে বিশ্বাসী নই। আমি বিশ্বাস করি, সাফল্য পেতে মেধাবীদের সুযোগ দিতে হবে।’